স্বদেশ ডেস্ক: জীবনে চলার পথে প্রতিদিনই অভিনব মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের৷ চোখে পড়ে অদ্ভুত অনেক ঘটনাও৷ কিন্তু, স্বামীকে ভালবেসে স্বপ্নেই গর্ভবতী হওয়ার কথা মনে হয় কেউ কোনওদিন শোনেননি৷ রামায়ণ কিংবা মহাভারতের যুগ থেকেই দেবতাদের আর্শীবাদে সন্তানপ্রাপ্তির নানা গল্প চালু আছে ভারতে৷ সেগুলি নিয়ে মাঝে মাঝে ঠাট্টা-ইয়ার্কিও হয় পাড়ার চায়ের স্টলে৷ কিন্তু, ঘোর এই কলিকালে পুরাণের সেই গল্প সত্যি হতে দেখা গেল বিহারের ভাগলপুরে৷ স্বামী কাজের জায়গা থেকে সাতমাস বাদে বাড়ি ফিরে জানতে পারলেন, স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বাড়ি বিহারের ভাগলপুর জেলার জগদীশপুরে৷ পাঁচবছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাদের৷ বর্তমানে দেড় বছরের একটি মেয়েও আছে৷ এমনিতে সবকিছু ঠিকই ছিল৷ কিন্তু, কিছুদিন আগে ওই গৃহবধূর ননদ লক্ষ্য করেন যে তার বউদি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে৷ দাদা কাজের সূত্রে সাতমাস ধরে কলকাতায় থাকার পরেও এই ঘটনা কী করে ঘটতে পারে তাই বুঝতে পারছিলেন তিনি৷ পরে তাঁর দাদা বাড়ি ফিরলে সবকিছু খুলে বলেন৷ সেই কথা শুনে স্ত্রীকে সন্তানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে ওই ব্যক্তি৷ তখন তার স্ত্রী তাকে বলে, ‘ভালবেসে তোমাকে স্বপ্নে দেখেছিলাম৷ তার ফলেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছি৷’ এই কথা শু েহতবাক হয়ে পড়ে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোক৷ ওই যুবতীর লোক ভোলানো কথায় বিশ্বাস না করে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে ঘটনাটি জানায়৷
কিন্তু, তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় বিহারের ডিআইজি বিকাশ-বৈভবের সঙ্গে দেখা করে ওই যুবতীর ননদ৷ তারপর ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন, গর্ভে থাকা শিশুটির বয়স হয়েছে ৭৮ দিন৷ তিনমাস থেকে ১২ দিন কম৷ সন্তানটি কার তা জানার জন্য যুবতীটিকে চাপ দিতে শুরু করে তার স্বামী৷ কিন্তু, তখনও মুখ খুলতে চায়নি সে৷ এরপর গোটা পরিবারের লোক চাপ সৃষ্টি করলে হুমকি দিতে শুরু করে৷ বলে, তোমরা যদি আমাকে এই বাড়িতে রাখতে চাও তো ভাল৷ না হলে তোমাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেব৷ যদিও এতে কোনও কাজ হয়নি৷ ওই যুবতীর হুমকি সত্ত্বেও তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা৷ তাঁদের অভিযোগ, পূর্ব পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই গৃহবধূ৷